ইন্টারনেটের উন্নতির সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে গেছে। সেই সাথে তরুণ প্রজন্মের মতামত জানতে অথবা নিজের মতামত তাদের জানাতে ব্লগিং (Blogging) এখন খুবই জনপ্রিয়। আর ব্লগিং এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)। আর তাই আপনি যদি প্রফেশনালী ভালো অবস্থানে যেতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যইওয়ার্ডপ্রেসশিখতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে ফ্রি এবং ওয়েব বেসড ওপেন সোর্স (Open Source) সফটওয়্যার (Software)। অর্থাৎ ডেভেলপাররা চাইলেই তাদের নিজেদের মত করে পরিবর্তন করে নিতে পারে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ফ্লেক্সিবিলিটির কারণে ধীরে ধীরে ওয়ার্ডপ্রেসবিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারির প্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (Content Management System) পরিণত হয়েছে যা দিয়ে ওয়েব কন্টেন্ট (Content) অথবা ব্লগ কন্টেন্ট ক্রিয়েট, এডিট ও ম্যানেজ-সবই করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এজন্য আপনাকে পিএইচপি (PHP) বা এইচটিএমএল (HTML) কিছুই জানতে হবে না। ডেভেলপারকে শুধু সাইটের লুক আর কন্টেন্ট ক্রিয়েট নিয়ে চিন্তা করতে হয়, তাও আবার কোন প্রকারের কোডিং ছাড়াই। ওয়ার্ডপ্রেসে আছে সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস আর ড্যাশবোর্ডের সুবিধা যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারি ওয়েব ডেভেলপমেনট সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট বানাতে ও ম্যানেজ এবং নিজে নিজেই ব্লগ টিউন করতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারীর কোন প্রকার টেকনিকাল জ্ঞান না থাকলেও হবে। আর সবার শেষে বিল্ট ইন এসইও (SEO) সুবিধা তো আছেই।
ওয়ার্ডপ্রেসের থিম কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লুক যখন খুশি তখন বদলাতে পারবেন।ওয়ার্ডপ্রেসের উল্লেখযোগ্য আরও কিছু সুবিধা হল-লিংক ম্যানেজমেন্ট, ব্লগ টিউন ইনডেক্সিং এবং একই ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটে একাধিক লেখক কে কন্টেন্ট ডেভেলপ করার সুযোগ দেয়া। অন্য ব্লগ থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে কন্টেন্ট ইম্পোর্ট (Import) করা যায়। এটি অন্যান্য ব্লগিং সার্ভিস যেমন ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাকের সাথেও খুব ভালভাবে কাজ করে।
ওয়ার্ডপ্রেসে সিকিউরিটি বিষয়ক অনেক সুবিধাও আছে। যেমন-স্প্যাম (Spam) কন্ট্রোল, ভিজিটর টিউমেন্ট, ইউজার রেজিস্ট্রেশন এবং কিছু সিলেক্টেড টিউনে পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন। এই কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আরও অনেক কম্প্যাটিবল প্লাগিংস (Plugins) আছে যা আপনার ব্লগিং এর প্রতি ভালবাসাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শুরুটা কিন্তু ছিল মানুষের ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের টুল হিসেবে। তবে এখন এটা ব্যক্তিগত লেনদেনের পাশাপাশি বিজনেস ওয়ার্ল্ডেও এর দাপট কোন অংশে কম নয়। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই ব্লগিং সাইট তৈরি ও মেইনটেইন করা যায়। তাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টার্গেটেড কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে এবং মত বিনিময় করতে পারে।
তাই এখন আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। ওয়ার্ডপ্রেসের এতো সুবিধা ছেড়ে এখনো অন্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নিয়ে পড়ে থাকবেন? না ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজের কর্ম জীবন কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
আমার ওয়েবসাইট - https://bestsocialplan.com
No comments:
Post a Comment